“মাগুরায় ৪র্থ শ্রেণীর ধর্ষনের তীব্র নিন্দা ও
ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন” ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।সম্প্রতি মানবাধিকার সংগঠক আশরাফুল আলম সাগর মাগুরা সদরে শ্রীফলতা গ্রামে ধর্ষিত স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে দেখতে গিয়ে উক্ত
ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময়ে তিনি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদানের মাধ্যমে প্রশাসন জনগনকে বুঝিয়ে দিক আইন সবার কাছে সমান। তিনি এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আশরাফুল আলম আরো বলেন, নির্যাতনের দৃশ্যই বলে দেয় মানবাধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশের এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি। আজও ধর্ষিত নারীদের বুক ফাটা আর্তনাদে সভ্য সমাজ কেঁপে ওঠে। শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে অনেক নারী এখনও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) আরো বলেন, “সভ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষার যুগে ধর্ষণ যে কত নির্মম অসভ্যতা এবং মানবাধিকারের লংঘন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।”
উল্লেখ্য, মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীফলতা গ্রামে (২ অক্টোবর) ৪র্থ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১২) ধর্ষিত হয়েছে। রবিবার রাতে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলা শ্রী ফলতলা গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্রী বাড়ির একটি কক্ষে শুয়ে ছিল। এ সময় একই গ্রামের সবুর আলী, মহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান নামের ৩ যুবক তার ঘরে ঢুকে ছাত্রীটির হাত-পা , মুখ বেধে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এই সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না , তারা আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন । তারা বাড়ি ফিরে ধর্ষিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মাগুরার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় বলেন, ছাত্রীকে ৩ যুবক ধর্ষণ করেছে । তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান আরো বলেন, বাংলাদেশে ধর্ষণ একটি দূরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে তাই ধর্ষণ প্রতিরোধে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। শুধু আইন ও নীতিমালাই যথেষ্ট নয়, ধর্ষণ রোধে প্রয়োজন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। আর এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনসহ সমাজ সচেতনতা তৈরিতে নারী-পুরুষ সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।